অতিরিক্ত চুল পড়ার দ্রুত সমাধান|Quick fix for excess hair fall
অতিরিক্ত চুল পড়ার দ্রুত সমাধান-
চুল পড়া সমস্যায় আমরা কমবেশি সব বয়েসির মানুষি ভুগে থাকি।কিন্তু এটা মেনে নেওয়া অসম্ভব যে আমাদের এই সুন্দর চুল ঝড়ে পড়ছে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ গুন বেশি। বিষয়টি নিয়ে খুবি চিন্তিত যারা আমরা এই চুল ঝরে যাওয়ার সমাধান চাই।
হ্যা বন্ধুরা আজকের লেখাটি তাদের জন্য যারা কিনা চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন এবং এর সঠিক সমাধান খুজে বেড়াচ্ছেন।
চুল পড়ার সমস্যার সমাধান খুজতে আমরা বাজারের বিভিন্ন ধরনের তেল,শ্যাম্পু কিনে থাকি।কিন্তু তা ব্যবহার করেও দেখা যাচ্ছে ফল তো পাওয়া ই যায়না আবার ঘটে হিতে বিপরিত ঘটনা।মানে চুল আরো বেশি পড়তে থাকে।
এই ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই প্রাকৃতিক হেয়ার অয়েল টনিক অথবা ইউটিউব দেখেই বাড়িতে বসে বানিয়ে ফেলি বিভিন্ন ধরনের তেল।যা তৈরি করতে ভালোই ব্যয়বহুল। কিন্তু এত সবকিছু করেও যখন সমস্যার সমাধান বের করা সম্ভব হচ্ছেনা তখন আমরা অনেকে ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছি চুল পড়া সমস্যাটি নিয়ে।
বন্ধুরা চুল পড়া সমস্যা সমাধানের কোন ব্যয়বহুল ছাড়াই কিছু ঘরোয়া এবং নিত্যদিনের ব্যবহারিক কিছু জিনিসের টিপস আমি আজ তোমাদের সাথে শেয়ার করবো। যা থেকে তোমরা চুল পড়ার সমস্যা থেকে বেচে যাবে। এবং চুল পরাকে জানাবে টা টা বাই বাই।
ত্বক এবং স্বাস্থ্যের যত্নে অলিভ অয়েল
চুলের যত্নে তেলঃ সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন চুলে তেল দিতে হবে।অবশ্যই তেল হাল্কা গরম করে নিতে হবে।এবং ১৫/২০ মিনিট ধরে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করতে হবে।অতিরিক্ত তেল গরম করা যাবেনা আর অতিরিক্ত স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করা যাবেনা।আর মনে রাখতে হবে চুলে অতিরিক্ত তেল দেওয়া যাবেনা।মাথায় তেল দিয়ে অনেক দিন রাখা যাবেনা।এতে করে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়।তাই যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু তেল ই চুলে ব্যবহার করতে হবে।
চুলে শ্যাম্পুর ব্যবহারঃ শ্যাম্পু করার আগে চুল আচ্রে চুলের জট ছাড়িয়ে নিতে হবে।শ্যাম্পু হাতের তালুতে নিয়ে পানি সহ শ্যাম্পু হাল্কা ম্যাসাজের সাথে চুলে লাগাতে হবে। ম্যাসায়জ করার সাথে সাথে অল্প করে পানি নিয়ে চুলে ফেনা তৈরি করতে হবে।এভাবে সুন্দর করে চুল ধুয়ে নিতে হবে।এরপর চুলের আগায় কন্ডিশনার লাগিয়ে কিছুক্ষন পরে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অবশ্যই মনে রাখতে হবে কন্ডিশনার গোড়ায় নয় আগাতেই ব্যবহার করতে হবে।কারন কন্ডিশনার এর কাজ হচ্ছে চুল নরম করা। তাই গোড়ায় লাগালে গোড়া নরম হয়ে চুল ঝরে যাবে।
বায়োটিনযুক্ত খাবারঃ চুল পড়া রোধে একটি বিশেষ ভুমিকা পালন করবে বায়োটিনযুক্ত খাবার।বায়োটিন হল এমন একটি ভিটামিন যা চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।এবং ত্বকের জন্যেও খুব উপকারি এই বায়োটিন।তাই বায়োটিনযুক্ত খাবার বেশি করে খান।
পালং শাকঃ এতে আয়রন, ভিটামিন,খনিজপদার্থ,
ফাইবার এবং ক্লোরোফিল সমৃদ্ধ পালং শাক শরিরের বায়োটিনের ঘাটতি পূরন করে।
কলাঃ কলা শরিরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।কলায় প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন বি, কপার, পটাশিয়াম, এবং বায়োটিন পাওয়া যায়।প্রতিদিন কলা খাওয়ার পাশাপাশি চুলে প্যাক হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও মিষ্টি আলু,বাদাম,মাশ্রুম,ইত্যাদি বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার আপনার চুল পড়া সমস্যা থেকে উদ্ধার করবে।
সবুজ শাকসবজিঃ পালং শাক,পুইশাক,কাচা পেপে,কচুর লতি,লাউ, সিম, লাউশাক,কুমরা শাক,লেটুস পাতা, থানকুনি পাতা,ব্রকলি,মটরশুঁটি, গাজর,মিষ্টিকুমরা
টমেটো, ইত্যাদি শাক সবজি নিয়মিত খাওয়ার ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে।এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ চুল পড়া রোধে প্রটিন যুক্ত খাবার আপনাকে অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।আর এই ক্ষেত্রে প্রপথম শ্রেনির প্রোটিন যুক্ত খাবার কে প্রাধান্য দিতে হবে।যেমনঃডিম, মাছ,মাংস, ডাল, দুধ, টকদই, ইত্যাদি খাবার খেতে হবে।যা চুল পড়া কমাতে এবং চুল বাড়তে সাহায্য করবে।
ভিটামিন সি যুক্ত ফলঃ টক জাতিয় ফল কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর এইসব টক জাতিয় ফলেই পাওয়া যায় ভিটামিন সি। তাই চুল মজবুত রাখতে চুল বৃদ্ধি করতে এবং নতুন চুল গজাতে ভিটামিন সি এর জুরি নেই।এর জন্য আপনাকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে যেমনঃ আমড়া, পেয়ারা, কমলা, আমলকি, লেবু, আনারস, কামরাঙা, এবং কাচা মরিচ। মনে রাখবেন কাচা মরিচে পর্যাপ্ত পরমানে ভিটামিন সি রয়েছে।এই সকল প্রচুর ভিটামিন সি যুক্ত খাবার আপনাকে খেতে হবে।
অতিরিক্ত চুল পড়ার দ্রুত সমাধানে উপরক্ত খাদ্যভ্যাস তৈরি করুন।এবং প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। কেননা পানি আমাদের ত্বল ভালো রাখে এবং চুলকে রাখে স্বাস্থ্যজ্জ্বল প্রানবন্ত।
নিজের প্রতি যত্নশীল হউন, সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
